অ্যানিমিয়া কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

অ্যানিমিয়া কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে আজকের আমাদের মূল আলোচনার প্রেক্ষাপট। সাথেই আপনাদের জন্য এই আলোচনায় আরও থাকছে, অ্যানিমিয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টের সাথে থাকুন এবং পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন অ্যানিমিয়া রোগ এবং অভাবজনিত কারণ সম্পর্কিত বিশদ তথ্য পেতে পারেন। 
অ্যানিমিয়া-কোন-ভিটামিনের-অভাবে-হয়-তার-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতার ব্যাপারে কম বেশি অনেকেই শুনেছেন। অ্যানিমিয়া রোগ কে অনেকে সাধারণ রোগ মনে করে কিন্তু অ্যানিমিয়ার লক্ষণ স্বাভাবিক জীবনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই আজকের পোস্টে অ্যানিমিয়া কোন ভিটামিনের অভাবে হয় সেই সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আপনারা ধৈর্য সহকারে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

অ্যানিমিয়া বলতে সহজ ভাষায় রক্তের সাথে জড়িত একটি রোগ কে বোঝায়। অ্যানিমিয়া রোগটি সরাসরি কিংবা রক্ত শূন্যতা নামে আমাদের দেশের আবহাওয়াতে থাকা নারী ও পুরুষ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের নিকট বেশ চেনা জানা এক সমস্যা। তাই অ্যানিমিয়া রোগ সম্পর্কিত আজকের এই আলোচনায় আমরা জানব অ্যানিমিয়া রোগ কি, অ্যানিমিয়া কত প্রকার ও কি কি, অ্যানিমিয়া হলে কি হয়, অ্যানিমিয়া কেন হয়, অ্যানিমিয়া দূর করার উপায়, অ্যানিমিয়া কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তার সম্পর্কে।

অ্যানিমিয়া রোগ কি

সাধারণত রক্তে লাল, রক্ত কোষের পরিমাণ ও উৎপাদন হ্রাস পেলে তাকে অ্যানিমিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এখানে লাল রক্ত কোষ বলতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কে বোঝানো হয়। অ্যানিমিয়া কে রক্ত শূন্যতা বা রক্ত স্বল্পতা‌ও বলা হয়। মানবদেহের লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ হ্রাস পেলে শারীরিক অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি হয়।


এই রক্ত কণিকা দেহে অক্সিজেন সরবরাহ বা পরিবহনের কাজে লেগে থাকে। যখন এর পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যায় তখন এটি এর পরিবহন ক্ষমতা কমিয়ে আনে ফলে শরীরে ব্যাঘাতের সৃষ্টি হয়। এজন্যই অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা  সম্পর্কিত রোগ বলা হয়। রক্তে এর প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো অভাবে রক্ত শূন্যতার মতো রোগ ব্যাধির দেখা মেলে।

ফলে দুর্বলতা, ফেকাসে ভাব, অনীহা সহ আরো কিছু ছোটখাট সমস্যা একত্রিত হয়ে ধীরে ধীরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিরক্তি প্রদান করতে পারে। এক গবেষণার তথ্য অনুসারে জানা যায় যে অ্যানিমিয়া বা রক্ত শূন্যতার সমস্যা নারীদের ক্ষেত্রে প্রবল আকারে দেখা পাওয়া যায়। অ্যানিমিয়া রোগ নারী-পুরুষ সকলের হতে পারে তবে গড় গণনায় কেবল আক্রান্ত পুরুষের তালিকা তুলনামূলক কম।

অ্যানিমিয়া কত প্রকার ও কি কি

আমাদের শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা হ্রাস পেতে থাকলে অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা দেহে বাসা বাঁধতে সুযোগ নেয়। বিভিন্ন কারণে শরীর থেকে এই কণিকার পরিমাণ এবং নির্মাণ কমে গিয়ে অ্যানিমিয়ার উদ্ভব ঘটতে পারে। অ্যানিমিয়া কয়েক ধরনের হয়ে থাকে।

অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতার বিভিন্ন প্রকার গুলি শরীরে অ্যানিমিয়া হওয়ার কারণ এর সাথে কিছুটা সম্পৃক্ততা বজায় রাখে। অ্যানিমিয়া কোন ভিটামিনের অভাবে হয় এই কারণটির উপর যেমন অ্যানিমিয়ার ধরন গুলি বিভক্ত করা হয় তেমনি অ্যানিমিয়ার গাঠনিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে রক্ত স্বল্পতা সচরাচর নিম্নোক্ত ভাগে বিভক্ত করা হয়।

ম্যাক্রোসাইটিক অ্যানিমিয়াঃ যেহেতু কাঠামোগত দিক থেকে ম্যাক্রপ্সাইটিক অ্যানিময়া চিহ্নিত করা হয় তাই এর বিবরণীতে এর গাঠনিক বৈশিষ্ট্যই উল্লেখিত থাকে। অর্থাৎ রক্তের লাল রক্ত কোষ বা লোহিত রক্ত কণিকার আকার নিয়মিত এর তুলনায় বৃহদাকার ধরা পড়ে তখন সেই অবস্থাকে ম্যাক্রোসাইটিক অ্যানিমিয়া বলে। উদাহরণস্বরূপ- মারাত্মক রক্ত শুন্যতা।

নরমোসাইটিক অ্যানিমিয়াঃ আমাদের শরীরের রক্ত যখন লোহিত রক্ত কণিকার মূল উপাদান কমতে থাকে তখন সেই অবস্থাকে লক্ষণীয় করার জন্য একে নরমোসাইটিক অ্যানিমিয়া বলা হয়। এক্ষেত্রে অ্যানিমিয়া স্বাভাবিক স্থিতি গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে অ্যানিমিয়ার এই প্রোকারটি বিভক্ত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ- আকস্মিক রক্তপাত, ঘাত বা কোনো ক্ষত।

সাধারণ মাইক্রোসাইটিক অ্যানিমিয়াঃ মাইক্রোসাইটিক অ্যানিমিয়া পুরোটাই ম্যাক্রোসাইটিক অ্যানিমিয়ার বিপরীত রূপ। মাইক্রোসাইটিক অ্যানিমিয়ার ক্ষেত্রে লোহিত রক্ত কণিকা গুলো নিয়মিত অবস্থায় তুলনায় ক্ষুদ্র কনিকা দ্বারা আবৃত থাকা কে ইঙ্গিত করে।

মাইক্রোসাইটিক হাইপোক্রোমাটিক অ্যানিমিয়াঃ শরীরের রক্তে লাল রক্ত কোষের পরিবর্তন এর সাথে রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার অন্যতম উপাদানের তরল হয়ে যাওয়ার বৈশিষ্ট্য দেখা দিলে এই অবস্থাকে মাইক্রোসাইটিক হাইপোক্রোমাটিক অ্যানিমিয়া রোগ বলা হয়। অ্যানিমিয়ার এই প্রকারটি সাধারণত আয়রনের ঘাটতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা রাখে।

এছাড়াও দেহে বা রক্তের উপাদানে ত্রুটি পূর্ণ রক্ত বা কণিকার উপস্থিতি অথবা অ্যানিমিয়া কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তার সঠিক ধারণা না থাকা বা রক্তে আয়রনের বিভিন্ন কারণে বিভক্ত অ্যানিমিয়ার ধরন গুলো সহ অ্যানিমিয়ার আরো কিছু ধরন হলো- ইন অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, হাইপোক্রোমাটিক মাইক্রোসাইটিক অ্যানিমিয়া, হেমোলিটিক অ্যানিমিয়া, বংশগত স্ফেরোসাইটোসিস, থ্যালাসেমিয়া এবং হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি, সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, পলিসাইথেমিয়া।

অ্যানিমিয়া হলে কি হয়

অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা ব্যক্তি ভেদে বিভিন্ন রকম কারণ ও লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে। বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকদেরদের ধারণায় সাধারণত ভিটামিন এর অপর্যাপ্ততায় দেহে অ্যানিমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে অ্যানিমিয়া কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তা যেকোনো একটি পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিনের উপর নির্ভরশীল নয়।

অ্যানিমিয়া হলে দেহে বিভিন্ন রকম অস্থিতিশীলতা দেখা যায় যা কিছুটা দেহের আভ্যন্তরীণ অংশ থেকে আসে এবং বাকিটা বহিরাগত অস্থিতিশীলতা হয়। প্রাথমিকভাবে দেহা পুষ্টিকর উপাদান প্রস্তুতির জন্য হার্টে রক্ত একটু বেশি দরকার হয় যা অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত রোগীদের অ্যানিমিক বলে অভিহিত করা হয়।

তাই এক্ষেত্রে বলা হয় অ্যানিমিক রোগী শিশু-কিশোর কিংবা মধ্যবয়সী বা প্রবীণ যে কেউ হতে পারেন। তবে শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ফলে তাদের শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় ফলে তারা নানার সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন।

অ্যানিমিয়া হওয়ার ফলে এ সকল অ্যানিমিক রোগীদের অস্থি এবং অস্থির বিভিন্ন জোড়াগুলিতে সার্বক্ষণিক পীড়ন অনুভব করেন। তাছাড়া অ্যানিমিয়া হলে ব্যক্তিদের দেখতে ফেকাসে লাগে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে ক্ষীণতা এবং শ্রান্তি ভাব সহযে দূর হয় না বরং অতিরিক্ত বা প্রসারিত ভাবে মাথা ধরা এবং অবসাদ দেহে বাসা বেঁধে নেয়।

অ্যানিমিয়া কেন হয়

অ্যানিমিয়া অনেকগুলো কারণে হয়ে থাকে যা অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত হয়ে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম কারণ উল্লেখ করে। অ্যানিমিয়ার অগণিত কারণ থাকলো এর প্রাথমিক কিছু কারণ যেগুলো আমাদের পারিপার্শীকে অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি লক্ষ্যণীয় অ্যানিমিয়ার সেই কারণ গুলোর দিকে হালকা ভাবে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

  • প্রথমত অ্যানিমিয়ার প্রধান ও অন্যতম কারণ হল শরীরের রক্তে থাকা লাল রক্ত কোষ এর বিলুপ্তি। এই বিলুপ্তি সম্পূর্ণরূপে ঘটে না তবে রক্ত থেকে যখন ধীরে ধীরে লাল রক্ত কোষ পৌঁছে শুরু করে তখন ধীরে ধীরে তুলনামূলক বেশি তরল হয়ে যায় এবং এর ঘনত্বের আকার ভঙ্গুর হতে থাকে। ফলে রক্তে জমাট বাঁধতে দেখা যায় না যার রক্তক্ষরণ এর অন্যতম কারণ যার দরুন দেহে রক্ত শূন্যতা দেখা দেয় এবং রক্ত শূন্যতার লক্ষণ গুলি ভালোভাবে ফুটে উঠতে শুরু করে।
  • রক্তে লাল কোষ এর পরিমাণ বৃদ্ধি না হওয়ার সাথেই প্রস্তুত হওয়ার ক্ষমতা হ্রাস হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটিও অ্যানিমিয়া হওয়ার একটি কারণ।
  • শরীরে দরকারি পুষ্টির চাহিদা অপূর্ণ থাকলে বা কেবল ভিটামিন এর অপর্যাপ্ততায় রক্তের উপাদান গুলোর বৃদ্ধিতে বাধা আসে ফলে দেহে অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতার মত পরিচিত রোগ গুলোর দেখা পাওয়া যায়।
  • পূর্বে থাকা ক্ষত বা আলসার জাতীয় ঘা থেকে রক্ত ক্ষরণ বা অপ্রত্যাশিত রক্তপাতের ফলে শরীরে রক্তের ঘাটতি হতে শুরু করে যা লম্বা সময়কাল ধরে রক্ত খাওয়ানো বাধা দিতে না পারায় পরবর্তীতে অ্যানিমিয়ার রূপ নেয়।
  • শরীরে যখন ত্রুটি পূর্ণ রক্তকণিকা উৎপাদন হতে শুরু করে তখন এটি রক্তশূন্যতা বয়ে আনে।

অ্যানিমিয়ার লক্ষণ

অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতার উপসর্গ গুলোর উপর ভিত্তি করে অ্যানিমিয়াকে সাধারণ একটি রক্তের সাথে জড়িত ব্যাধি বলে ধারণা করা হয়। তবে এই ব্যাধি শরীরের আভ্যন্তরীণ অবস্থার গোলযোগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। নিম্নে রক্ত স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ার লক্ষণ কয়েকটি উপস্থাপন করা হলো।

  • দীর্ঘকালীন ক্ষীণতা বা শক্তিহীনতার দেহে ভর করা
  • অল্পতেই শ্রান্তি ও অবসাদগ্রস্থ হওয়া
  • ম্লান ভাব
  • পোস্টুরাল হাইপোটেনশন
  • অকারণে ও অসময়ে মাথা ধরা
  • অ্যাজমা জাতীয় সমস্যা
  • জিভ ফেটে যাওয়া কিংবা ফাটা দাগ চলে আসা বা প্রদাহ জাতীয় ভাব উদ্ভব হওয়া
  • খুদা অনুভূত না হওয়া
  • অস্থি গুলোতে আকস্মিক বা স্থায়ী ব্যথা অনুভব
  • বুক ব্যথার ও দেহের বহিরাগত অ-অনুভূত অংশে ভঙ্গুরতা চলে আসে ইত্যাদি।

অ্যানিমিয়া দূর করার উপায়

অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধে প্রথমেই আমাদের নিজের খাদ্যা ভাষা পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। সাথেই অ্যানিমিয়া রোগ ধরার প্রাথমিক পর্যায়ে থেকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার জন্য প্রথমে সুষম খাদ্যের দিকে আমাদের বৃদ্ধি করতে হবে।

সবুজ শাকসবজি, লাল মাংস ও কলিজা, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার এবং দুগ্ধজাত খাবার নিজের দৈনিক খাদ্য তালিকা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন- পালং শাক, খাসির মাংস, কলিজা, দুধ, খেজুর, সামুদ্রিক মাছ ও ছোট মাছ, মৌসুমী ফল, ডাল, সয়াবিন ইত্যাদি দেহে রক্তের প্রয়োজনীয় উপাদান উৎপাদনে প্রচুর কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

অ্যানিমিয়া কোন ভিটামিনের অভাবে হয়

যেকোনো রোগ অবশ্যই কোনো না কোনো ভিটামিনের অথবা কোন পুষ্টির ঘাটতির কারণেই হয়ে থাকে। অ্যানিমিয়া মূলত একটি মারাত্মক রোগ। এটি রক্তের একটি রোগ যা রক্তে থাকা অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতাকে অনেক বেশি কমিয়ে দেয়। এটি মূলত ভিটামিন বি ৯, ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতির সাথে ভিটামিন সি ও অপর্যাপ্ত খনিজের কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও ফোলেট এর অভাব অ্যানিমিয়ার লুকায়িত একটি কারণ।

রক্তে থাকা লোহিত রক্ত কণিকার স্বাভাবিক সংখ্যার থেকে কম হওয়ার কারণেও হয়ে থাকে। এছাড়া রক্তে থাকা অক্সিজেন বহনের জন্য যে পরিমাণ হিমোগ্লোবিনের প্রয়োজন তা কমে যাওয়ার কারণে রক্তে থাকা লোহিত কণিকা রক্ত অক্সিজেনের পরিবহন ঘটাতে ব্যাঘাত প্রাপ্ত হয় ফলে রক্তের উৎপাদন কমে যাওয়ায় রক্তশূন্যতা দেহে জুড়ে বসে যা রক্তের স্বাভাবিক কার্যক্রম কে বাধাগ্রস্ত করার সাথে নতুন প্রস্তুতি বন্ধ করে শরীরে নানাবিক বিপাক ঘটায়।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা অ্যানিমিয়া কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু জানতে পেরেছেন। আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন মতামত আমাদের জানাতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে অ্যানিমিয়া রোগ এবং অ্যানিমিয়ার অভাবজনিত কারণ সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url