স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে আজকের আমাদের মূল আলোচনার প্রেক্ষাপট। সাথেই আপনাদের জন্য এই আলোচনায় আরও থাকছে, স্কার্ভি রোগের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টের সাথে থাকুন এবং পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন স্কার্ভি রোগ সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
ভিটামিনের অভাবজনিত কারণে ঘটা স্কার্ভি রোগ সম্পর্কে এখনো অনেকেই জানেন না। বিভিন্ন রকমের ভিটামিনের অভাবে শরীরে স্বভাবতই ক্লান্তি-অবসাদ সহ ত্বক ও চুলে নানা রকম সমস্যা আমরা প্রায়ই আমাদের আশেপাশে দেখছি যার বেশিরভাগই স্কার্ভি রোগের লক্ষণ। তাই শুরুতেই জেনে রাখা উচিত স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয়। আজকে পোষ্টের মাধ্যমে আমরা স্কার্ভি রোগ এবং স্কার্ভি রোগের প্রতিকার সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।
ভুমিকা
শরীরে নির্দিষ্ট এক ভিটামিনের ঘাটতি জনিত কারণে কারবি রোগের উৎপত্তি হয়। কারবি রোগের প্রারম্ভিক লক্ষণগুলো অতি সাধারণ হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই তাই লোকে সচেতনতার অভাব লক্ষণীয় হয়। ফলে স্কার্ভি নিজের প্রারম্ভিক লক্ষণগুলো পিছনে ছেড়ে দিয়ে শরীরে আরো প্রভাব ফেলা শুরু করে দেয়। স্কার্ভি রোগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায়, স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় জানা না থাকলে এবং এই রোগের সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থার আয়োজন শুরুর দিকে বুঝতে না পারার কারণে পরবর্তীতে রোগটি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। আজকের পোস্টে আমরা জানবো স্কার্ভি রোগ কি, স্কার্ভি রোগ কেন হয়, স্কার্ভি রোগ কোথায় হয়, স্কার্ভি রোগের লক্ষণ কি এবং স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে কোন খাবার উপকারী সম্পর্কে।
স্কার্ভি রোগ কী
স্কার্ভি রোগ হলো শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিনের অবর্তমানতা জনিত রোগ। বিশ্লেষিত তথ্য অনুসারে বিশেষজ্ঞরা বলেন কার্বির ভিটামিন সি এর অবর্তমানতার ফল। অর্থাৎ শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতির ফলে এই রোগ বাসা বাধে। ভিটামিন সি এর শূন্যতাতে হওয়া বিভিন্ন রকম ছোট বড় অসুস্থতাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামান্য বলে উপেক্ষা করে দেয়া হয়।
এভাবেই কোন কোন রোগের প্রারম্ভিক লক্ষণ গুলোকে আমরা ছোটখাটো অসুখ হিসেবে গণ্য করে চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করি না যা পরবর্তীতে এই রোগের গুরুতর লক্ষণ হিসেবে প্রমাণিত হয়। স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তা এতক্ষণে আমরা জানতে পারলাম। যেকোনো রোগ চেনার উপায় হলো সেই রোগের সমস্ত উপসর্গকে একত্রিত করে হিসেব করা।
তাই স্কার্ভি রোগ চেনার জন্য এর লক্ষণগুলোকে ঘাটিয়ে দেখতে হবে। প্রথমদিকে শারীরিক দুর্বলতার সাথে শরীরে কিছু অংশে ব্যথা অনুভব হয় অথবা মাড়ি, ত্বক ও চুল ইত্যাদি ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকতা চোখে পড়লে বুঝতে হবে তা কোন রোগের লক্ষণ। স্কারবি রোগের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ হলো মাড়িতে স্কার্ভি রোগ হওয়া। ত্বক থেকে কিংবা মাড়ি থেকে রক্ত ঝরার মাধ্যমে ত্বকে অস্বাভাবিকতার সৃষ্টি করে এই স্কার্ভি রোগ। তাই সকলকেই স্কার্ভি রোগের প্রতিকার জেনে রাখা উচিত।
স্কার্ভি রোগ কেন হয়
দীর্ঘকাল ধরে শরীরে ভিটামিন-সি এর ঘাটতি থাকলে দেহে স্কার্ভি রোগের উদ্ভব হয়। ভিটামিন সি এএ অনুপস্থিতি জনিত কারণ ছাড়াও বিভিন্ন রোগব্যাধির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, কোন অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার পর শরীরকে বাহ্যিকভাবে ও খাদ্যের মাধ্যমে পর্যাপ্ত যত্ন না দেয়া এবং শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়। স্কার্ভি রোগের সাধারণ লক্ষণ হল ত্বক ও এর বহিরভাব অঞ্চলে অস্বাভাবিকতা যেমন রক্তপাত কিংবা ব্যথা।
দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে যখন ভিটামিন সি এর আনাগোনা দেখা যায় না তখন আমাদের ত্বকে কোলাজেনের স্বাভাবিক অবস্থায় গড়ে ওঠে না। যেহেতু স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তা বুঝা গেলো তাই এখন জেনে নেয়া যাক এই ঘাটতি কিভাবে শরীরে রোগ উদ্ভবে জড়িত। যেহেতু কোলাজেন এর স্তর সমষ্টি ঠিকমতো নির্মাণ হতে ভিটামিন সি এর প্রয়োজন।
তাই এর অনুপস্থিতিতে ত্বকে খোলা যেন উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হয় এবং ত্বকে নানা রকম অস্বাভাবিকতা, হাত পা ব্যথা বা রক্তক্ষয়নার মতন নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত শিশু বয়সী থেকে শুরু করে প্রবীণ পর্যন্ত প্রাপ্ত বয়স্ক কিংবা অপ্রাপ্তবয়স্ক যে কোন ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাসের ত্রুটির জন্য হতে পারে। এক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন সি এর শূন্যতা অনুভব হওয়ার কিছু মাসের মধ্যেই স্কার্ভি রোগ নিজের উপসর্গগুলো তুলে ধরতে শুরু করে।
তাই তাজা ফল-মূল ও সবুজ শাক-সবজি এড়িয়ে চলাই স্কার্ভি রোগ নিমন্ত্রণ এর প্রথম ধাপ ও প্রধান কারণ। এছাড়াও ভিটামিন সি এর সুপ্ত কারণ সহ আরো কিছু জটিলতার কারনে স্কার্ভি রোগ হয় যা স্কার্ভি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য ঝুঁকির কারণ বয়ে আনে। এই কারণগুলো দেহে স্কার্ভি রোগ রোগের উৎপত্তির সাথে ইতিমধ্যে স্কার্ভি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য বিপদের কারণ হতে পারে। নিম্নে এই রোগের কারণগুলো উল্লেখ করা হল।
- দীর্ঘকালীন ধরে অতিসার বা ডায়ারিয়া হওয়া
- অযৌক্তিক এবং নিষিদ্ধ ঔষধের উপনিয়োগ
- স্নায়ু সংক্রান্ত জটিলতা থাকলে
- চিকিৎসা পদ্ধতিতে অতিরিক্ত বিক্রিয়ার প্রভাব
- অযৌক্তিক খাদ্য সংযম এর অভ্যাস থাকলে
- নিজ স্বাস্থ্যের যত্নে অবহেলা করায় কিংবা অপুষ্টিত জনিত কারণকে অবহেলা করায় এবং
- ধূমপান কিংবা মদ্যপানের মতো আচরণগুলোর কারণে স্কার্ভি রোগ হয় এবং আক্রান্ত রোগীর এসকল অভ্যাস থাকার ফলে স্বাস্থ্য থেকে বেড়ে মৃত্যু পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে।
তবে অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করলে উপরোক্ত অসুস্থতাগুলো দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্কার্ভি রোগ কোথায় হয়
ভিটামিনের শুণ্যতার ফলে হওয়া স্কার্ভি রোগের লক্ষণ শরীরের যেকোনো স্থানে দেখা দিতে পারে। তবে প্রথমেই যদি লক্ষ্য করা যায় স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তাহলে স্কার্ভি রোগের বিশেষভাবে যে কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে যা সহজেই দৃশ্যমান খাওয়ার সাথে বোধগম্য হয়।
যেমন, দাঁতের মাড়িতে, ত্বকের যে কোন অংশে শুষ্ক হয়ে ফোড়া বা ঘায়ের মতো আবরন হওয়া বা হাত-পা এর ব্যথা অনুভব হওয়া। দেহের যেকোন স্থানে স্কার্ভি রোগ হলে ক্ষতস্থান সহজে শুকায় না ফলে দেহে কোন ক্ষত স্থান থাকলে বরং তার সংক্রমনের হার বাড়তে থাকে। স্কার্ভি রোগ দেহে কোলাজেনের অপর্যাপ্ততা বৃদ্ধি এবং কাঠামোর ফলস্বরূপ হয়ে থাকে।
আর যেহেতু কোলাজেন ত্বকের টিস্যুর গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান তাই এটি শরীরকে ক্লান্ত করা ও হাড়গোড়ের ব্যথা ও দুর্বলতা দেয়ার সাথেই ত্বকে নানা বেশ সমস্যার উপযোগ ছেড়ে থাকে। ত্বকের ক্ষত, অকারণে রক্তক্ষরণ, জ্বালাপোড়া, ফুসকুড়ি কিংবা ত্বকের আবারো নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং চুলের জন্যও নানা রকম বিপাকের সৃষ্টি করে।
স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয়
স্কার্ভি রোগের মূল উৎপত্তির কারণ হল শরীরের ভিটামিন সি এর অনুপস্থিতি। তাই স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় প্রশ্নের উত্তরে কেবল মাত্র ভিটামিন সি এর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। ভিটামিন সি আমাদের শরীরে ত্বককে সতেজ রাখার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। বহুকাল ধরে যখন শরীরে ভিটামিন সি এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না তখন শরীরে কোনদিন এর রচনাও বৃদ্ধি ধীরে ধীরে বন্ধ পর্যায়ে চলে আসে।
এতে করে শরীরে অভ্যন্তরীণ ও বহির্ভাগে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যার মধ্যে স্কার্ভি রোগ হলো অন্যতম একটি সমস্যা। অনেক সময় দীর্ঘকালের বদলে প্রায় ৩০ দিনের মাথায় যদি শরীরে ভিটামিন সি জাতীয় উপাদানের শূন্যতা অনুভব হয় তখন স্কার্ভি রোগ ধীরে ধীরে নিজস্ব লক্ষণ গুলো আক্রান্ত ব্যক্তির সামনে আনতে থাকে।
শুরুর দিকের লক্ষণ গুলো কিছুটা শারীরিক বেদনা, শাড়ি দুর্বলতা অবসাদ ও ক্লান্তিময় হতে পারে। তবে পরবর্তী সময়ে স্কার্ভির চিকিৎসা না করা হলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রবল যন্ত্রণা দেয়। তাই যথাযথাই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত নয়। আমাদের প্রতিদিনের খাবারে অল্প সংখ্যক হলেও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাদ্য সংযুক্ত করা উচিত।
শরীরে পুষ্টির অভাবে নানা রকম রোগের দেখা দেয়। তাই বিভিন্ন রকম রোগ থেকে শরীরকে নিরাপদ ও রোগ মুক্ত রাখতে আমাদের দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হবে এবং খাদ্যাভ্যাসে দৈনন্দিন সুষম খাদ্য আমাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে যেহেতু যে কোন কিছুই অতিরিক্ত মাত্রায় নিরাপদ নয় তাই ভিটামিন সি গ্রহণের ক্ষেত্র কিছুটা সচেতন থাকতে হবে।
যদিও ভিটামিন সি সরাসরি প্রাকৃতিক উপাদান থেকে পাওয়া যায় এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের অন্তর্ভুক্ত তবুও পরিমাণের অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণের ফলে শরীর কিছু ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে শরীরকে সকল রকমের পুষ্টি প্রদান করার ক্ষেত্রে সচেতনতা করতে হবে।
স্কার্ভি রোগের লক্ষণ কি
স্কার্ভি রোগের অন্যতম লক্ষণ হল শরীরে ইভেনে স্থানে বিশেষ করে হাতে ও পায়ে পীড়ন অনুভব। এই ব্যথা বেশিরভাগ পেশি সংবলিত হয় যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাতে ও পায়ে লক্ষণীয় হয়। তাছাড়া দাঁতের মাড়িতে স্কার্ভি রোগ প্রচুর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দাঁতের মাড়িতে দাঁতের কোনে থাকা মাংসগুলোর মধ্যে কালশিটে, ব্যথা কিংবা ঘা এর মত করে স্কার্ভি যন্ত্রণা দেয়। শরীরে ক্লান্তি ভাব নিয়ে আশা সাথে অশেষ দুর্বলতা দেয়। এছাড়াও শরীরে ফুসকুড়ি কিংবা ঘা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অথবা ইতিপূর্বে হওয়া ক্ষতস্থান শুকানোর বদলে সংক্রমণ হতে থাকে এবং রক্তধারা প্রবণতা দেখা দিতে পারে। স্কার্ভি রোগের প্রতিকার না করলে এটি আমাদের শরীরে রক্তপাতের মাধ্যমে রক্তের কণিকা কমিয়ে দেয় এবং ত্বকে নানাবিধ ক্ষতের সাথে চুলের জন্য সমস্যা সৃষ্টিকারী হয়ে দাঁড়ায়। স্কার্ভি রোগ এর আরো কিছু লক্ষণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- বমি হওয়া কিংবা বমি হওয়ার মত আশংকা
- ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা
- জ্বর বা জ্বর ছাড়াই শরীরে অকারণে অতিরিক্ত তাপমাত্রা
- ক্ষুধামন্দা, চোখ, হাত বা পা ডুমরে উঠা ইত্যাদি।
স্কার্ভি রোগের প্রতিকার
স্কার্ভির প্রতিকার করার জন্য প্রথমেই স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় সেই বিষয় স্বচ্ছ করলে এর প্রতিকার বের করা সহজ হয়ে যায়। যেহেতু স্কার্ভি রোগের অন্যতম কারণ ভিটামিন সি এর শূন্যতা তাই প্রথমেই শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পড়তে দেয়া যাবে না সেই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ভিটামিন সি জাতীয় উদ্ভিজ্জ উপাদান সরাসরি সেবনের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সংগ্রহ করা যায়।
তবে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বনের সাথে চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। চিকিৎসকের সাহায্য নেয়ার সাথেই অন্যান্য কার্যক্রমে পদ্ধতিতে ও পরিবর্তন আনান জরুরী। যেমন সকল কিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, শরীরে কোন ক্ষত হতে দেয়া যাবে না এবং ভুল করে যদি কোন ক্ষত হয়ে যায় তবে সেটিকে যথেষ্ট যত্ন দিতে হবে।
যেন এই ক্ষতস্থানটি থেকে নতুন কথা সংক্রমিত না হয় এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করার উপায় সন্ধান করতে হবে। অবশ্যই আংশিক রান্না করা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং শরীরকে অতিরিক্ত পরিশ্রম দেওয়া যাবেনা কেননা শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে গেলে এই রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে কারণ এটি আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমে বাধা প্রদান করতে থাকে।
স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে কোন খাবার উপকারী
স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রথমেই খাবারের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। যেহেতু প্রয়োজনে পুষ্টির অভাবে শরীরে এই রোগের উৎপত্তি তাই পুষ্টি গ্রহণের দিকে সচেতন থাকতে হবে যেন শরীরে পরিমিত পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা যেতে পারে। স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ এবং এর গুরুতর অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার বা প্রতিরোধের জন্য কিছু খাবার উল্লেখ করা হলো।
ভিটামিন-সিঃ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পরিমিত আকারে রাখতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের সাথে যদি ভিটামিন সি গ্রহণের অভ্যাস না থাকে তাহলে অবশ্যই এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার বৃদ্ধি করতে হবে।
আমলা বা আমলকীঃ আমলকী একটি সাইট্রাস জাতীয় ফল যা স্কার্ভি রোগের উপশম হিসেবে বেশ কার্যকরী। এটি তাজা, শুকিয়ে বা রস বের করে যেকোনো ভাবে খাওয়া যায়।
রসুনঃ রসুনে থাকো উপাদানগুলি শরীর থেকে স্কার্ভির উপসর্গগুলো হ্রাস করতে সাহায্য করে।
লেবুঃ লেবু সরাসরি সাইট্রিক এসিড সমৃদ্ধ হএয়ায় এটি স্কার্ভির অন্যতম প্রতিরোধে একটি ফল।
সবুজ শাকসবজি ও কালো মরিচঃ স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে সবুজ শাকসবজি খাওয়ার জুড়ি নেই। সাথেই কালো মরিচে থাকা উপাদান আপনার শরীর থেকে স্কার্ভি দূর করতে সাহায্য করবে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তার সম্পর্কিত বিস্তারিত বিষয়বস্তু জানতে পেরেছেন। তবে আপনি অথবা আপনার পরিবার কিংবা পরিচিত যে কেউ যদি ভিটামিন এর ঘাটতিতে স্কার্ভি রোগে ভুগছেন তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন মতামত আমাদের জানাতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে স্কার্ভি রোগ এবং স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url