রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় বিস্তারিত জানুন

রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে আজকে আমাদের মূল আলোচনার প্রেক্ষাপট। সাথেই আপনাদের জন্য এই আলোচনায় আরও থাকছে, রাতকানা রোগের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টের সাথে থাকুন এবং পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন রাতকানা রোগ সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।

রাতকানা রোগের নামের সাথে কম বেশি সকলেই পরিচিত। তবে রাতকানা রোগের বিস্তার এবং রাতকানা রোগের ঔষধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। তাই আজকের পোষ্টের মাধ্যমে রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তার বিস্তারিত ভাবে সকল তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

রাতকানা-রোগ-কোন-ভিটামিনের-অভাবে-হয়-বিস্তারিত-জানুন

ভূমিকা

রাতের সময়ে দৃষ্টিশক্তির হ্রাসপ্রাপ্তি বা পতন অনুভব হওয়াকে রাতকানা রোগ হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়। এছাড়াও রাতকানা রোগকে আরো বিশদ ভাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। তবে ক্রমবর্ধমান আকৃতিতে এই সমস্যার দেখা মেলা কোনভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এর জন্য সুষ্ঠু চিকিৎসা ও রাতকানা রোগের ঔষধ গ্রহণ করার সাথে রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তা উন্মোচন করা প্রয়োজন। তাই আজকের পোস্টে আমরা জানব, রাতকানা রোগ কি, রাতকানা রোগ কেন হয়, রাতকানা রোগের লক্ষণ কি, রাতকানা রোগ কি ভালো হয়, রাতকানা রোগের চিকিৎসা ও রাতকানা রোগের প্রতিকার সম্পর্কে।

রাতকানা রোগ কি

রাতে কম দেখতে পারা কিংবা রাতে সময় দৃষ্টিশক্তি অধোগতি হয়ে যাওয়াকে রাতকানা রোগ বলে। রাতকানা রোগকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় নিকটালোপিয়া বলে। নিকটালোপিয়া বা রাতকানা রোগকে সাময়িক অন্ধ হিসেবে তুলনা করা হয়। রাতকানা রোগ ব্যক্তির চক্ষুর দর্শন শক্তি দুর্বল করে দেয়।

রাতকানা রোগের কারণে রাত্রি কালে আলো বা ছায়ার উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি তুলনা করা কঠিন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাভাবিক আলোতে দেখার শক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে ঝাপসা দেখতে পারে। সঠিক চিকিৎসা এবং যত্নের সাহায্যে রাতকানা রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব এবং শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিনের সঞ্চারে রাতকানা রোগ এড়িয়ে চলা সম্ভব।

রাতকানা রোগ জেনেটিক বা পুষ্টির অভাবজনিত দুই কারণেই হতে পারে তাই রাতকানা বা নিকটালোপিয়াকে জেনেটিক রোগ বা ভিটামিন এ এর অভাবের দরুন ঘটা রোগ বলা হয়। তাই রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় এই বিষয়ে সকলেই ধারণা করে নিতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে জন্মের পরবর্তী সময় থেকেই শিশুর রাতকানা রোগ হয়ে থাকে যা পরবর্তী সময়ে ধরা পড়ে।

রাতকানা রোগ কেন হয়

সাধারণত ভিটামিন-এ বা রেটিনলের অভাবে রাতকানা রোগ হওয়ার উপর ভিত্তি করে রাতকানা রোগের প্রচলিত ও অন্যতম কারণ হিসেবে ভিটামিন-এ এর ঘাটতিকে ধারণা করা হয়। রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় এই প্রশ্নের উত্তর এতদিনে আর অজানা নেই তবে এছাড়াও জিনগত কারণে রাতকানা রোগ হয়ে থাকে।

এর ফলে শিশুর জন্মের পরবর্তী সময় থেকেই রড কোষের কার্যকারিতা স্থগিত থাকে বা কিছু ক্ষেত্রে স্বল্প পরিমাণে রড কোষ নিজের কার্যক্ষমতা বজায় রাখে। রাতকানা রোগের ফলে কেবল রাত্রি কালে রোগীর দর্শন শক্তি বিচ্ছিন্ন বা দুর্বল হতে পারে কিংবা চোখ আলোর সংস্পর্শ গ্রহণ বর্জন করতে পারে। তবে দীর্ঘকালীন এই সমস্যা চলমান থাকলে কিছু ক্ষেত্রে দিনের বেলাতেও রোগীর চক্ষুর দর্শন শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

এক্ষেত্রে রাতকানা রোগের ঔষধ ও স্বাস্থ্যসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন প্রয়োজন। ভিটামিন এ এর অভাবজনিত কারণ ছাড়াও বিভিন্ন রকম রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রাতকানা রোগের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে শিশুকালীন কিছু রোগ যেমন, হাম, নিউমোনিয়া বা ডায়রিয়া জাতীয় রোগ শরীরকে দুর্বল করে দেয় এবং শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি এনে দেয় ফলে উদ্ভব হয় রাতকানা রোগের।

এছাড়া শিশুর জন্মের পর সঠিক হারে চাহিদা পূরণ না হলে অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগ, যেমন- রাতকানা হওয়া সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে শিশুর জন্মকালীন কারণ অল্প দিনের শিশুদের ক্ষেত্রে রাতকানা রোগের প্রভাব বেশি আশঙ্কাজনক। কিছু ঔষধিও রাতকানা রোগ বয়ে আনার কারণ হয়ে থাকে। যেমন- ফেনোথায়াজিন। দেহে ফেনোথায়াজিনের উপাদান প্রবেশ করলে কোন কোন সময়ে এটি দেহে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।

ফেনোথায়াজিন জাতীয় ঔষধি প্রতিক্রিয়ায় রাতকানার মত রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া বিভিন্ন রোগ বা রোগ ভেরি চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জনিত কারণে রাতকানা বা রাতে দুর্বল দৃষ্টির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে চোখ সম্পর্কিত আরোগ্য- ল্যাসিক, ফোটো রিফ্রেক্টিভ কেরাটেক্টমি বা রেডিয়াল কেরাটোটমি (আর কে) বা দীর্ঘ সময় আই ড্রপ ব্যবহারের কারণে রাতে দর্শনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রাতকানা রোগের লক্ষণ কি

রেটিনাইসিস পিগ্মেন্টোসার দরুন ঘটা এই চক্ষু ব্যাধির বেশ কিছু লক্ষণ শুরুর দিকেই প্রতিলক্ষিত হয়। সর্বপ্রথম বলা যাক, চোখের যে কোন সমস্যা অনুভূত হলে এটিকে হালকাতে নেওয়া উচিত নয় কারণ এই লক্ষণগুলি বই আনতে পারেন নানা রকম রোগ ব্যাধি যা আমাদের দৃষ্টি শক্তির জন্য করুন হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তা জানার সাথেই রাতকানা রোগের সাথে সম্পৃক্ত সরাসরি কিছু লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম ও উল্লেখযোগ্য কিছু লক্ষণ গুলো হলো।

  • মৃদু আলোতে সামনের বস্তু দেখতে অসুবিধা বোধ করা।
  • রাতের সময় আলো ছায়ার তারতম্য বুঝতে না পারা।
  • রাতের সময় যে কোন কাজে চক্ষুর দর্শন শক্তির বাধা অনুভব করা।
  • দীর্ঘ দৃষ্টিতে চোখে অকারণে ও অস্বাভাবিক চাপ অনুভব করা।
  • চোখে শুষ্কতার আবির্ভাব ঘটা।
  • রাতকানা রোগের উপসর্গ হিসেবে চোখে ছানি পড়া।
  • চোখে ক্ষত, ঘা বা কালশিটে পড়া।
  • কর্নিয়ায় অনুজ্জ্বল ভাব আসা।
  • গুরুতর ক্ষেত্রে কর্নিয়াতে স্ফোটক হওয়া।
  • রেটিনার অস্বাভাবিক অবস্থা দেখা দেওয়া।
  • জিনগত কারণে ঘটা রাতকানা রোগের লক্ষণ হিসেবে চোখের দৃষ্টির সাথে শ্রবণের মাত্রায় সমস্যা অনুভূত হওয়া।
  • সম্পূর্ণরূপে রাতে দেখার শক্তি ও শুনার শক্তি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
  • প্রাথমিক দিকে আলোর সাথে জটিলতা সৃষ্টি হওয়া।

রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয়

রাতকানা রোগ হওয়ার পেছনের প্রধান যুক্তি হিসেবে রয়েছে শরীরে ভিটামিন এ এর ঘাটতি। অন্যান্য ভিটামিনের মতো ভিটামিন-এ যুক্ত খাদ্য আমাদের শরীরের পুষ্টি সাধনের জন্য ব্যপক ভূমিকা রাখে। শরীরে যখন ভিটামিন এ এর চাহিদা ঠিক মতো পূর্ণ করা হয় না তখন নানা ধরনের সমস্যা ও রোগ ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ঘটে। এর মধ্যে অন্যতম রোগের নাম রাতকানা রোগ বা নিকটালোপিয়া রোগ। শারীরিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কার্য সম্পাদনের জন্য শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ জাতীয় উপাদান দরকার হয়। এখন জেনে নেয়া যাক আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত ভিটামিন-এ এর প্রয়োজনীয়তার কারণ সমূহ।

  • একবার পূর্ণবয়স্ক নারী কিংবা পুনঃবয়স্ক পুরুষ থেকে নবজাতক শিশু, সকলেরই প্রতিনিয়ত ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ উপাদান শরীরে প্রয়োজন হয়।
  • দেহের ইমিউনিটি সিস্টেম বজায় রাখতে এবং বৃদ্ধিতে ভিটামিন জাতীয় খাদ্য অত্যাবশ্যকীয়।
  • পূর্ণবয়স্ক নারীর দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রায় ০.৭ থেকে ০.৮ মিলি গ্রাম ভিটামিন এ এর উপাদান দরকার এবং পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে তার দৈনন্দিন খাদ্যে ০.৯ মিলি গ্রাম থেকে ১ মিলি গ্রাম ভিটামিন-এ এর সমৃদ্ধতার দরকার রয়েছে।
  • ভিটামিন এ আমাদের শরীরে ইমিউন রক্ষার সাথে শরীরের গঠনকাজ ও রোগ বলাই দূর করতেও সাহায্য করে।
  • ভিটামিন এ জাতীয় উপাদান আমাদের চক্ষু দর্শন শক্তি বৃদ্ধি করে
  • ভিটামিন এ আমাদের দেহের কোষ বাড়াতে সক্ষম
  • ভিটামিন এ আমাদের প্রজন্ম বৃদ্ধির শক্তি দেয়
  • ত্বকের নবীনতা বজায় রাখে
  • টিউমার ও ক্যান্সার জাতীয় গুরুতর রোগ থেকে দূরে রাখে এবং এগুলোর সাথে লড়তে সাহায্য করে।
  • অস্থি ও দাঁতের গড়ন ও নতুন আকৃতি রচনায় সাহায্য করে।
  • ভিটামিন এ চোখকে জলসিক্ত রাখে এবং চোখের জ্বালাতন দূর করে।

রাতকানা রোগ কি ভালো হয়

পর্যায়ক্রমে ও সময় সাপেক্ষভাবে রাতকানা রোগের চিকিৎসা নিলে রাতকানা রোগ অবশ্যই ভালো হয়ে যায়। যেহেতু ভিটামিনের অভাবজনিত কারণে এই রোগটি ঘটে তাই ধাপে ধাপে চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে রাতকানা রোগ নিরাময় করে এটি জীবন থেকে দূর করা সম্ভব।

ঘরোয়া পরিচর্যায় খাবার দাবারে প্রানিজ ও উদ্ভিজ্জ মাধ্যম থেকে ভিটামিন সরবরাহ করে এবং চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিশেষজ্ঞর সকল নিয়ম নীতি অনুসরণ করে রাতকানা রোগ নিরাময় করে ফেলা সম্ভব। রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে চাইলে অবশ্যই প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। নবজাতক জন্ম নেয়ার শিশুর ওজন, খাদ্য এবং পরিমিত পুষ্টি পাচ্ছে কিনা সেদিকে ধ্যান রাখতে হবে।

বড়দের ক্ষেত্রে অপুষ্টি এবং অপুষ্টি জনিত রোগ নিরাময়ের ব্যবস্থা নিতে প্রখর থাকতে হবে। ওষুধ সেবনে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সহ পরবর্তী সময় কোন প্রতিক্রিয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সর্বোপরি যেহেতু আমরা জানি রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তাই ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য উপেক্ষা করে চলা যাবে না।

রাতকানা রোগের চিকিৎসা

প্রারম্ভিক ভাবে রড কোষ বিলুপ্ত বা বিনাশ হওয়ার জন্যই দৃঢ় আলোতে তাকানো মুশকিল হয়। এটি রাতকানা রোগের প্রথম দিকের লক্ষ্মণ। তবে এটি জিনগত হতে পারে। এছাড়া চোখের ছানি, রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা, শরীরে ভিটামিন-এ এর অপর্যাপ্ততা ও ডায়াবেটিস জাতীয় অন্যান্য রোগের জন্য রাতকানা রোগের উদ্ভব ঘটে।

রাতকানা রোগ চিকিৎসার জন্য প্রথমে এর লক্ষনের ভিত্তিতে চোখের রোগ নির্ণয় করে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। রোগীর রাতকানা নির্ণয়ের জন্য চোখের নানা রকম পরীক্ষা এবং রোগের পূর্ববর্তী সকল চিকিৎসার ইতিহাস বা ঘটনা জানা জরুরি। সাথেই চার্ট শনাক্তকরণ ও রক্ত পরীক্ষা সহ অন্যান্য যাচাই-বাছাই করা হয়। রাতকানা রোগের সম্পূর্ণ চিকিৎসা রোগীর রাতকানা রোগ কেন হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে করা হয়।

আপনার রাতকানা রোগের কারণ জানার পরেই চিকিৎসক তার উপর ভিত্তি করে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে জানাবেন। তবে রাতকানা রোগের ধরনের উপর নির্ভর করে গুরুতর চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োজন না হলেও, প্রাথমিকভাবে রাতকানা রোগের ঔষধ সম্মিলিত প্রেসক্রিপশন, চশ্মা ও অন্যান্য নিয়ম নীতি ও পরামর্শ জানিয়ে দিতে পারেন।

তবে রোগের লক্ষণের তালিকা বড় হলে রাতকানা রোগটি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে ফলে ঔষধি সহ অস্ত্রপাতের কিংবা ছানি দূর করার জন্য অন্যান্য পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। রোগের চোখে অস্বাভাবিকতা অনুভূত হওয়ার সাথেই চক্ষু হাসপাতালে কিংবা চক্ষু বিশেষজ্ঞর কাছে যাওয়া উচিত। চিকিৎসাতে যত দেরি করা হয় তত আশংকা বাড়ে।

রাতকানা রোগের ঔষধ

রাতকানা রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী এর ঔষধি নির্ধারণ করা হয়। এক একজন রোগীর রোগের ধরন একেক রকম হয় এবং একেকজন রোগীর রোগের কারণ গুলো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেহেতু যেকোনো রোগের চিকিৎসা হিসেবে রোগীর রোগের ধরন এবং কারণ উভয়ই জানার প্রয়োজন তাই এক্ষেত্রে প্রত্যেকের নিরাময় পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন হয়। কারো জিনগতভাবে রাতকানা রোগ হয়ে থাকলে তাকে সেভাবেই গোড়া থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

কারো পরিস্থিতি সাময়িক অবস্থায় থাকলে তাকে ঔষধি মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয় এবং ছানি পড়লে কিংবা গুরুতর অবস্থা থাকলে অস্ত্রপাতের মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এজন্যই রাতকানা রোগের নিরাময়ের জন্য নির্দিষ্ট ভাবে ঔষধ সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া যায় না। চক্ষু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে তার পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করাই উত্তম।

রাতকানা রোগের প্রতিকার

জন্মের পর থেকেই রাতকানা রোগের প্রতিকারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব। কেননা রাতকানা রোগ শিশু থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সী মানুষের হতে পারে। শিশু বয়সে মাত্রাতিরিক্ত কম ওজনের শিশুদের রাতকানার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই পর্যাপ্ত পুষ্টি, মায়ের দুধ ও সময়মত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদান করে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

এছাড়া দৈনন্দিন সুস্থ জীবন যাপনের সাথে খাদ্য তালিকার মধ্যে ফলমূল, মিষ্টি আলু বা গাজর, কুমড়া, আম, সবুজ শাক-সবজি, দুধ, মাছ, ডিম ইত্যাদি সেবন করে শরীরকে রাতকানা রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত করা যেতে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্যে মনযোগ রাখতে হবে। শিশুর বয়স যতদিন পর্যন্ত ৬ বছরের না হয়ে যায় ততদিন পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ভিটামিন-এ এর পরিপূরক খাওয়াতে হবে এবং অপুষ্টি মোকাবেলায় সচেতন থাকতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু জানতে পেরেছেন। তবে আপনার অথবা আপনার পরিবারের বা পরিচিত কারো যদি সুস্থতা নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে এবং পোষ্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোনো মতামত আমাদেরকে জানাতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে রাতকানা রোগ সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url