পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরা এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু। সাথেই আরো থাকছে চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। অনেক গুণে গুণান্বিত এই অ্যালোভেরা চুলের এবং রূপের যত্নেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে।
আপনি যদি অ্যালোভেরার সম্পর্কে বিস্তারিত, নতুন এবং সঠিক তথ্য পেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য প্রয়োজনীয় হতে চলেছে। তাই আমাদের এই পোস্টটি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ ভাবে পড়ুন যাতে করে এলোভেরা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য আপনি জানতে পারেন।
ভূমিকা
এলোভেরা এমন একটি উদ্ভিদ যা বর্তমান সময়ে আমাদের চারপাশের প্রায়শই দেখা যায়। পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা ঠিক ততটাই রয়েছে যতটা মেয়েদের জন্যেও হয়ে থাকে। অর্থাৎ এটি নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রাকৃতিক গুণে ভরপুর এলোভেরা উদ্ভিদটি একটি বহুজীবী ভেষজ প্রজাতির গাছ হিসেবে পরিচিত।
অ্যালোভেরার ঔষধি গুন
অ্যালোভেরার আরেক নাম ঘৃতকুমারী। অর্থাৎ এটি বাংলায় ঘৃতকুমারী নামেই পরিচিত। যদিও বা ঘৃতকুমারী নামের তুলনায় এলোভেরা নামে এটি বেশি পরিচিত। অ্যালোভেরা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রাচীনকাল থেকেই এলোভেরার ব্যবহার। প্রাচীনকালে এটি উত্তর আফ্রিকার দিকে বেশি পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে এটি পৃথিবীর সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। এই গাছটি দেখতে অনেকাংশে আনারসের গাছের মতো।
এলোভেরার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের হয়ে থাকে এবং এটি বেশ মোটা ও খানিকটা চওড়া আকারের হয়ে থাকে। এর পাতার দুই ধারি হয় কাঁটাযুক্ত হয়ে থাকে। এই পাতার কাঁটা হালকা ধার বিশিষ্ট হয়ে থাকে। অ্যালোভেরার পাতার ভেতরের অংশ শাস যুক্ত এবং লালার মতো পিছলা হয়ে থাকে। এতে রয়েছে প্রায় ২০ ধরনের খনিজ পদার্থ যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এলোভেরার পাতায় যে সকল খনিজ পদার্থ রয়েছে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- ভিটামিন বি১ বি ২ বি ৩ বি ৬
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন ই
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন বি ১২
- ক্রোমিয়াম
- আয়রন
- সোডিয়াম
- পটাশিয়াম
- কপার
- ক্যালসিয়াম
- জিংক
- ম্যাঙ্গানিজ
- ম্যাগনেসিয়াম
- সেলেনিয়াম
এলোভেরা গাছের গড় উচ্চতা সাধারণত ৬০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার এর মধ্যে হয়ে থাকে। এই গাছের পাতা একের পর এক গাছের গোড়া থেকে উপরের দিকে উঠতে থাকে। অ্যালোভেরার ঔষধি গুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
অ্যালোভেরার ব্যবহার
অ্যালোভেরা একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ যা ত্বকের যত্নের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদিও বা এর সীমাবদ্ধতা শুধুমাত্র ত্বকের যত্ন পর্যন্তই নেই। এর ব্যবহার ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি চুল এবং বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যার নির্মূলের জন্যেও হয়ে থাকে। নিম্নে এলোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো।
শরবত হিসেবেঃ যেমন লেবুর শরব, গুড়ের শরবত রয়েছে ঠিক তেমনি অ্যালোভেরা শরবত বানিয়ে খাওয়া যায়। এলোভেরার শরবত খেলে শারীরিক এমন অনেক সমস্যা আছে যেগুলো আপনার অজান্তেও ঠিক হয়ে যেতে পারে।
স্ক্রাব হিসেবেঃ এলোভেরাকে ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালোভেরার সাথে কফি অথবা চিনি মিশিয়ে ত্বকের স্ক্রাবিং করলে ত্বকের মৃত কোষ দূর করা সম্ভব।
জেল হিসেবেঃ এলোভেরাকে জেল এর মত করে তৈরি করে শীতের শুরুতে এবং শেষে ব্যবহার করলে পা ফাটার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এই জেল আরো বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যায়।
সানবার্ন হিসেবেঃ এলোভেরা কে সানবার্ন হিসেবেও ব্যবহার করা সম্ভব এবং এটি সানবার্ন হিসেবে অনেক বেশি কার্যকরী ফলাফল দিয়ে থাকে। রোদের পোড়া ভাব থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে এর কোন জুড়ি নেই।
ময়েশ্চারাইজার হিসেবেঃ বাজারে বিভিন্ন প্রকারের বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন মূল্যের মশ্চারাইজার পাওয়া যায়। কিন্তু যদি ঘরোয়া ভাবে অল্প খরচে অ্যালোভেরার ময়েশ্চারাইজার তৈরি করে ব্যবহার করা যায় তাহলে, এটি থেকে একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার পাওয়া সম্ভব। যা খসখসে ত্বককে মসৃণ করতে অনেক সাহায্য করে থাকে।
মেকআপ রিমুভার হিসেবেঃ ক্যামিক্যাল যুক্ত মেকআপ রিমুভার বাজার থেকে না কিনে আমরা যদি এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে মেকআপ রিমুভার হিসেবে তৈরি করে ব্যবহার করি তাহলে এতে করে আমরা প্রাকৃতিক গুণাবলীও পাব। এবং এটি বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত মেকাপ রিমুভার এর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে।
পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা*****
অ্যালোভেরা যে শুধুমাত্র নারীদের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে তা একটি ভুল ধারণা। এটি পুরুষদের জন্যেও অনেক উপকারি। সৌন্দর্য বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নারীরা কত কিছুই না করে থাকে। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে ঠিক তার উল্টাটা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ব্যস্ততার জীবনে পারিবারিক দায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারাও কিন্তু নিজেদের যত্ন নিতে পারেন না। তাই অল্প সময়ে অল্প খরচে ত্বকের উজ্জ্বলতা আনতে এবং শারীরিক বিভিন্ন দুর্বলতা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এলোভেরার প্রশংসা অতুলনীয়। পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- যেহেতু এলোভেরা একটি রসালো উদ্ভিদ তাই এতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই এটি ত্বককে খুব ভালো ভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে এবং হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। যার কারণে ত্বক হয়ে ওঠে সতেজ।
- অ্যান্টি এজিং এর ক্ষেত্রেও এলোভেরা অনেক সহায়তা করে থাকে। তাই এটি ব্যবহারে ত্বকের উপর তেমন একটা বয়সের ছাপের প্রভাব পড়ে না।
- রক্তের শর্করা এবং কলেস্টোরেলের মাত্রা কমাতে অ্যালোভেরার ভূমিকা অপরিসীম।
- বিষয় যদি হয় ত্বকের যত্নের তাহলে এলোভেরা ত্বকের জন্য একেবারে জাদুর মত কাজ করে।
- ত্বকের বলিরেখা দূর করতে, ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে, ত্বকের ব্রণ এবং ব্রনের দাগ দূর করতে এলোভেরা খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- এলোভেরা গ্যাস্ট্রিক-আলসার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
- ত্বকে যদি ক্ষত দেখা দেয় সেই ক্ষতকে দ্রুত নিবারণ করে ক্ষতস্থান কে মসৃণ করতে অ্যালোভেরা অনেক সহায়তা করে।
- যে সকল পুরুষদের কাম ইচ্ছা বা যৌন ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে, তারা যদি নিয়ম করে এলোভেরা খেতে পারে তাহলে তারা খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবে। এটি নারীদের ক্ষেত্রেও একইভাবে কাজ করে থাকে।
- চুলের গোড়া শক্ত করতে এবং চুলের বৃদ্ধি দ্রুততর করতে এলোভেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- চুলের খুশকি, পুরুষদের মাথায় টাক পড়া, চুল দিন দিন রুক্ষ হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় আলোভেরা।
- বারবার মুখে ঘা হলেও এলোভেরার মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
- শারীরিক দুর্বলতার ক্ষেত্রেও অ্যালোভেরার জুস বানিয়ে খাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
- হজম শক্তি বাড়াতে এলোভেরার উপকারিতা বৃহদাংশে রয়েছে ।
অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম
আমরা অনেকেই হয়তো জানি যে, এলোভেরা খেলে অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। তবে খেতে হয় কিভাবে সেটা হয়তো অনেকেই জানিনা। এলোভেরাকে রস বা জুস হিসেবে বা কিউব আকারে কেটে সালাত হিসেবেও খাওয়া যায়। তাছারা পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা এবং তাদের চুলের যত্নে অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, প্রতিদিন সকালবেলায় খালি পেটে এটিকে খেতে হবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র এক গ্লাস অ্যালোভেরার রস বা জুস প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে পান করলে শরীরে থাকা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার**
এলোভেরার রয়েছে অনেক ঔষধি গুন। রোগের চিকিৎসা থেকে শুরু করে ত্বক এবং ত্বক থেকে শুরু করে চুল পর্যন্ত সবকিছুতেই অনেক বেশি উপকারী হচ্ছে এই অ্যালোভেরা। প্রতিটি ক্ষেত্র তেই নিজের দক্ষতা দেখাতে কমতি রাখেনি এই ভেষজ ঔষধি উদ্ভিদটি। নিম্নে চুলের যত্নে এলোভেরার কিছু ব্যবহার গুলো উল্লেখ করা হলো।
- দুই চামচ নারকেলের তেল, চা চামচের এক চামচ মধু এবং দু চামচ এলোভেরা একত্রে মিশিয়ে নিয়ে জেল এর মতো করে তৈরি করতে হবে। গোসল করতে যাওয়ার ঠিক ৩০ মিনিট পূর্বে এই মিশ্রণটিকে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে সম্পূর্ণ চুল ঢেকে দিতে হবে। এতে করে চুলের রুক্ষতা দূর হয়ে চুল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। এটি চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করে থাকে।
- এক চামচ এলোভেরা এবং তার সাথে নিতে হবে দু চামচ টক দই, এবার এই দুইটিকে একসঙ্গে মিশ্রিত করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে আলতোভাবে ১০ মিনিট ধরে মাসাজ করতে হবে। তারপর চুলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যেন, শ্যাম্পু করার পর কোনভাবেই কন্ডিশনাল করতে ভুল না হয়। এতে করে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং সাথেই চুলের গোড়াও মজবুত হয়ে উঠবে।
- আমলকির রস এবং এলোভেরার রস একসাথে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল পড়ার সমস্যা এবং খুশকির সমস্যা দূর হবে সাথেই বারবে চুলের উজ্জ্বলতাও। চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার এর মদ্ধ্যে এটি অন্যতম।
- ২ চামচ এলোভেরা, একটি ডিমের কুসুম এবং এক চামচ অলিভ অয়েল একত্রিত করে ভালোভাবে মিশ্রিত করতে হবে। এবারে মিশ্রণটি সম্পূর্ণ ছুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি লাগানোর ৩০ মিনিট পর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে চুল পড়া বন্ধ হয়।
- পরিমাণ মতো মেহেদী বাটা, জবা ফুল বাটা এবং এলোভেরা এই তিনটি উপাদান একত্রে মিশ্রিত করে গোসলের আগে সম্পূর্ণ চুলে গোড়া সহ ভালোভাবে লাগাতে হবে। এই মিশ্রণটি লাগানোর ৩০ মিনিট পর অর্থাৎ ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই মিশ্রণটি মাথায় রেখে তারপর ভালোভাবে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিতে হবে পূর্বে। এতে করে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে প্রাণবন্ত। এবং এটি আমার নিজস্ব পরীক্ষিত একটি উপায় যা ড্যামেজ চুলকেও রিপেয়ার করতে সাহায্য করে।
রাতে এলোভেরা ব্যবহার
আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অ্যালোভেরা অনেক উপকারী একটি উপাদান বা উদ্ভিদ। পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা এবং ব্যবহার বিধি সম্পর্কেও আমাদেরকে জেনে রাখতে হবে। এলোভেরার এই পুষ্টিগুণ গুলোকে রাতে কিভাবে ব্যবহার করা সম্ভব তা নিয়ে নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা হলো।
- রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে অ্যালোভেরার জেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
- এটি ত্বকের পোড়া ভাব অর্থাৎ রোদে পোড়া ভাব দূর করতে সহায়তা করে। এই অ্যালোভেরা কে রাত্রে ঘুমে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে সানবার্ন হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
- বাজার থেকে কেমিক্যাল যুক্ত নাইট ক্রিম না কিনে প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন এলোভেরা জেল দিয়ে নাইট ক্রিম তৈরি করে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- এলোভেরা এ থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থসমূহ ত্বকের বলিরেখা কমাতে ও বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রেও রাতে শোয়ার পূর্বে অ্যালোভেরা লাগিয়ে শোয়া উচিত।
- যেহেতু রাত্রে আমাদের সাথে আমাদের ত্বকও বিশ্রাম নেয় সেহেতু এটি সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত সময় নিজের ত্বকের যত্নে নেয়ার। রাতে এলোভেরা ব্যবহার
দাগ দূর করতে এলোভেরা
সুন্দর এবং দাগহীন ত্বক কে না চায়। প্রাই বেশিরভাগ নারী অথবা পুরুষ সকলেই চায় এটি দাগহীন ত্বক। কিন্তু নানান কারণেই ত্বকে দাগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে কেমিক্যাল এর মাধ্যমে এই দাগ সমূহ দূর করা সম্ভব হয়। তবে ক্যামিক্যাল দ্বারা এই সকল দাগ দূর করার চেষ্টা করলে অনেক ক্ষেত্রে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। যা মোটেও সন্তোষজনক নয়। তাই এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াকে এড়াতে ঘরোয়া ভাবে এলোভেরা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। দাগ দূর করতে এলোভেরা যেভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- একটা ডিমের সাদা অংশ, এক টেবিল চামচ এলোভেরা এবং অর্ধেক টেবিল চামচ লেবুর রস একত্রে মিশে একটি প্যাক তৈরি করে মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য। ২০ - ২৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
- প্রতিদিনের গোসলের পর এলোভেরা জেল এবং গোলাপ জল একত্রে মিশিয়ে টোনার হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা এবং ত্বকের দাগে অনেক উন্নতি লক্ষ্য করা যায়।
- এক চিমটি হলুদের গুড়া, এক টেবিল চামচ এলোভেরা জেল, কয়েক ফোটা গোলাপজল, এক চা চামচ মধুর সংমিশ্রনে একটি প্যাক তৈরি করে ২০ মিনিটের জন্য মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে। ২০ মিনিট পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
- ভিটামিন ই মধু এবং অ্যালোভেরা একত্রে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে মুখের ত্বকে লাগালেও দাগ দূর করা সম্ভব।
- এক চা চামচ টক দই এর সঙ্গে, এক চা চামচ লেবুর রস এবং ২ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের দাগ দূর হয়।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা এলোভেরা সম্পর্কে নতুন তথ্য এবং পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করে অন্য সবাইকে এলোভেরার সম্পর্কে বিস্তারিত সব সঠিক তথ্য জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url