জাতীয় পতাকা একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের নির্দেশনা প্রকাশ করে। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে আলাদা আলাদা জাতীয় পতাকা রয়েছে। বাংলাদেশের একটি নিজস্ব পতাকা রয়েছে, যা দেখে মানুষ চিনতে পারে বাংলাদেশের পতাকা। প্রিয় বন্ধুরা তোমরা যদি জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ রচনা সম্পর্কে জানতে চাও তাহলে আর্টিকেলটি পড়ে শেষ কর। কেননা এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ রচনা সম্পর্কে।
এই অনুচ্ছেদটি ক্লাস সিক্স টু টেন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে লিখব। আশা করি এই আর্টিকেলটি ছোট্ট বন্ধুদের ভালো লাগবে। তো চলো মূল আলোচনা যাই।
জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ রচনা
বিশ্বের প্রতিটি দেশের একটি নিজস্ব জাতীয় পতাকা রয়েছে। এটি সেই দেশের স্বাধীন, সার্বভৌমত্ব, আশা-আকাঙ্খা ও ঐতিহ্যের প্রতিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশ বাংলাদেশ এই দেশের পতাকা অর্জিত হয়েছে ৩০ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এবং এর পিছনে রয়েছে অনেক রক্ত ও ত্যাগ। এই পতাকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহ্যের প্রতিক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ৪২ বছরে পা দিয়েছে। স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে আমরা ছিলাম পরাধীন জাতি।
ছিল না আমাদের কোন নিজস্ব পতাকা। কিন্তু আজ বাংলাদেশের নিজস্ব পতাকা রয়েছে, সবুজের বুকে লাল, এ তো থাকবেই চিরকাল। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রং হচ্ছে সবুজের বুকে লাল এবং জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হচ্ছ ১০:৬ বা ৫:৩। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় লাল বৃত্তটির পরিমাণ এর দৈর্ঘ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতীয় পতাকার সবুজ রং প্রকাশ করে সজীবতা ও প্রাচুর্যতা এবং লাল রং প্রকাশ করে উদীয়মান লাল সূর্যের রক্তাক্ত স্বাধীনতার সংগ্রাম। সবুজ অর্থ হচ্ছে শস্যের প্রাচুর্যতা , জীবনের উচ্ছলতা এবং তারুণ্যের অফুরন্ত আনন্দ ঘন জীবন আর সূর্যের মতো লাল রং শহীদের বুকের তাজা রক্তের চিহ্ন প্রকাশ করে।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বহন করে বাঙালির জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের মূল্যবান বাণী। বৌদ্ধ খ্রিস্টান , হিন্দু, মুসলমান সকল জাতি মিলে এই পতাকার ছায়াতলে সমবেত হয়ে দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকা কে সম্মান প্রদর্শন করে এবং দেশকে ভালোবাসার ব্রত গ্রহণ করে। স্বাধীনতা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বিজয় দিবস সহ অন্যান্য যে কোন দিবসে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও প্রত্যেক কর্ম দিবসে সরকারি ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষা করা বাংলাদেশে বসবাসকারী প্রত্যেক নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কেননা এই জাতীয় পতাকা আমরা এমনি এমনি পাইনি। এর জন্য আমাদের বিসর্জন দিতে হয়েছে অনেক তরতাজা প্রাণ ও বুকের তাজা রক্ত। তাই জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের উচিত এবং জাতীয় পতাকার সম্মান ও গৌরব জীবন দিয়ে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করা সকলের উচিত।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা, আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আশা করি এই অনুচ্ছেদটি তোমাদের অনেক উপকারে আসবে। অনুচ্ছেদটি যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবো আর শেয়ার করতে ভুলবনা। সকলে ভালো থাকবে-আল্লাহ হাফেজ!
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url