করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন আমার এই পোস্টে। যদি আপনি আমার পোস্টটি সম্পুর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যেহেতু করলা একটি সবজি এবং অনেক তেতো তাই সবাই এই করলা খেতে পছন্দ করে না কিন্তু করলা খেলে মানবদেহের কি কি উপকার হয় তা সব কিছুই জানতে পারবেন করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন আমার পোস্টে।
করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন আমার এই পোস্টে এবং আরো জানতে পারবেন করলা খেলে গরমে স্বস্তি দেয়, সেই সঙ্গে শরীরকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় করলা রাখুন। আর করলার ঔষধি গুণের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। যদি আপনি নিয়মিত করলার তরকারী ও জুস খান তাহলে বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে রক্ষা পাবেন।
ভুমিকা
করলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। কেননা করলা তিতা হওয়ায় এর গুণাগুণ অনেক। মনে রাখবেন যে কোন তিতা জিনিসই তারুণ্যকে ধরে রাখে। সে হিসেবে করলা অনেক তিতা। ম্যালেরিয়া রোগী, বাতের ব্যাথা, ক্যান্সার প্রতিরোধক, হার্ট এ্যাটাক, সুগার নিয়ন্ত্রসহ আরো অনেক গুণে গুণান্বিত এই তিতা করলা। তবে এর অপকারিতাও রয়েছে। আমি বিস্তারিত উপস্থাপন করছি।
করলা নিয়মিত আমরা কেন খাবো
করলার মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে তা শরীরের দূষণ দূর করে এবং নিয়মিত করলা খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। যদি কোন ব্যক্তি পানি, মধু ও করলার রস মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করেন তাহলে অ্যাজমা, গলার সমস্যা ও ব্রংকাইটিস থেকে উপকার পাবেন।
তারুণ্যকে ধরে রাখতে নিয়মিত করলার তরকারি অথবা জুস খাবেন। তাহলে দেখবেন আপনার তারুণ্য অটুট রাখবে, বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখে, ম্যালেরিয়া জ্বরে স্বস্তি দেয়, ত্বক, চুল সতেজ রাখে ও মাথা ব্যাথা রোধ করে। করলা হিমোগ্লোবিন তৈরীতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং নিয়মিত করলা খেলে শরীরে বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাই চোখের দৃষ্টিশক্তিও বৃদ্ধি পায়।
নিয়মিত করলার তরকারি অথবা জুস খেলে শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখবে। সকল প্রকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে। যদি কখনো আপনার খাবারের প্রতি অনীহা আসছে তখন থেকেই দিনে অন্ততঃ একবার হলেও ১ চামুচ করে করলার জুস খাবেন তাহলে দেখবেন আপনার খাবারের রুচি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কোন ব্যক্তির ম্যালেরিয়া রোগ হলে নিম্নে ৭ দিন নিয়মিত ৩/৪ টি করলার পাতা ও ২/৩ টি গোলমরিচ একসঙ্গে পিশিয়ে খেলে দ্রুত সুস্থ্যতা লাভ করবে এবং শরীরের সমস্ত কৃমি দূর করবে। এমনকি ক্যান্সারের মত রোগকেও প্রতিহত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
করলা যে সব পুষ্টি গুণে ভরপুর
করলা কি কি গুণে গুণান্বিত তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
- ভিটামিন সি
- ক্যালসিয়াম
- বিটা ক্যারোটিন
- আয়রণ
- পটাসিয়াম
- ম্যাগনেসিয়াম
করলা খাওয়ার অপকারিতা
করলা খাওয়ার অনেক উপকারিত থাকলেও এর কিন্তু অপকারিতাও রয়েছে যা অনেকেই জানেন না কিংবা জানলেও মানেন না। তাই আপনাকে বলছি বেশী বেশী করলার তারকারি খাবেন এবং জুস করেও খাবেন তবে গর্ভবতী মাকে কখনও খাওয়াবেন না। কেননা গর্ভবতী মাকে করলা খাওয়ালে পেটের বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যদি আপনি করলা খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাহলে অবশ্যই গাইনী ডাক্তারের পরামর্শক্রমে খাওয়াবেন। তাছাড়া কখনো ভুলেও গর্ভবতী মা’কে করলার তরকারী কিংবা জুস খাওয়াবেন না। উপকারের চেয়ে অপকারই বেশী হতে পারে।
শেষ কথা
করলা খাওয়ার গুণাগুণ লিখে শেষ করা যাবে না। করলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই আমরা নিয়মিত করলার তরকারী ও জুস খেয়ে শরীরকে সুস্থ্য রাখবো।
লেখকের মন্তব্য
করলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সকল আপডেট তথ্য পেতে আমার সাইটটি ভিজিট করুন এবং অন্যকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। আর এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করলে আরো অনেক তথ্য পাবেন।
ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url