মাছ চাষের জন্য পুরাতন পুকুর প্রস্তুতির বিস্তারিত জানুন
মাছ চাষের জন্য পুরাতন পুকুর প্রস্তুতির বিস্তারিত জানার জন্য অনেক তথ্য রয়েছে। যদি মাছ চাষ করার চিন্তা করেন তাহলে আগে কিভাবে পুকুর প্রস্তুতি করবেন সেটা আগে ভালো করে ধারণা নিবেন তারপর মাছ চাষ করার সিদ্ধান্ত নিবেন।
অনেকই মাছ চাষের জন্য পুরাতন পুকুর প্রস্তুতি করে থাকেন। তাদের জন্য আমার এই পোস্টে অনেক তথ্য রয়েছে। তাই অনুরোধ করবো যে, আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন তাহলে মাছ চাষের জন্য পুরাতন পুকুর প্রস্তুতির বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ভূমিকা
প্রবাদ বাক্যই আছে মাছে ভাতে বাঙ্গালী। এই বাঙ্গালী জাতী মাছ চাষ করে আজ অনেক স্বাবলম্বী হয়েছে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জায়গায়, প্রত্যেকটি এলাকায় মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। সেটা পুরাতন পুকুর হউক কিংবা নতুন পুকুর হউক। তবে মাছ চাষ করার পূর্ব মূহুর্তে পুকুর প্রস্তুতি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা নিবেন।
পুরাতন পুকুরের জন্য করণীয়
পুকুরে থাকা বিভিন্নপ্রকার আগাছা, কচুরিপানা, খরকুটা পরিস্কার করা। পুকুরে থাকা পূর্বের যে কোন যেমন- শোল, বোয়ালা, গজার, টাকি, রাক্ষুসে মাছ এবং অবাঞ্ছিত মাছ মলা, ঢেলা, পুঁটি, চান্দা সম্পূর্ণ ভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে। বর্ষাকালে পুকুড় পাড় ভেঙ্গে না যায় সে জন্য পুকুড়ের পাড় শক্ত করে মেরামত করতে হবে।
পুকুরে চুন প্রয়োগ ও পদ্ধতি
১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে প্রতি শতাংশে। কেননা পুরাতন পুকুরে অনেক গ্যাস হয়ে থাকে নতুনভাবে মাছ চাষ করতে গেলে সকল মাছ মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কড়া রৌদ্রের মধ্যে চুন পানি দিয়ে পাতলা করে সমস্ত পুকুড়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। চুন পানিকে পরিস্কার করে, ঘোলাত্ব দূর করে, মাছ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বিষাক্ত গ্যাস দূর করে, বাফার হিসেবে কাজ করে। কখনও প্লাস্টিকের পাত্রে চুন ভিজানো যাবে না বরং মাটির পাত্র বা টিনের পাত্রে বা ডামে চুন মিশায়ে পুকুরে ব্যবহার করতে হবে।
পুকুরে সার প্রয়োগ
পুকুরে চুন প্রয়োগের ১ সপ্তাহ পর সার প্রয়োগ করতে হবে। এতে করে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরী হয় যা প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে হয়ে থাকে।
পুকুরে চুন প্রয়োগের ৫-৭ দিনের পর সার প্রয়োগ করতে হবে। এতে করে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরী হয় যা কার্প মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে হয়ে থাকে। এগুলো বিভিন্ন ধরণের জুপ্লাংকটন ও ফাইটোপ্লাংকটন। নির্দিষ্ট মাত্রার সার প্রয়োগ করায় উত্তম পুকুর প্রস্তুতিকালে।
পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য পরীক্ষা
পুকুরে সার প্রয়োগের এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরী হয়ে যায়। যার ফলে পুকুরের পানির রং সবুজ, বাদামি সবুজ ও লালচে সবুজ হয়ে যায়। তখন বুঝতে যে, পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরী হয়েছে। প্রাকৃতিক খাদ্য পরীক্ষা করা যায় ৩টি উপায়ে যেমন- গামছা গ্যাস, সেকি ডিস্ক ও হাত দ্বারা।
পুকুরে পানির বিষাক্ততা পরীক্ষা
পুকুড়ের মাছের পোনা ছাড়ার পূর্বে পানির বিষাক্তকতা পরীক্ষা করতে হবে। কিভাবে পরীক্ষা করতে হবে- তা হলো পুকুরের এক পার্শ্বে সামান্য গর্ত করে অথবা এক বালতি পানি নিয়ে সেখানে মাছের পোনা ছেড়ে ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। যদি এই ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাছের পোনা মারা যায় তাহলে বুঝতে হবে যে, এই পুকুরের পানিতে বিষাক্ততা রয়ে গেছে। তাই আর মাছের পোনা ছাড়া যাবে না। তবে কিছুদিন অপেক্ষা করে পুনরায় পানির বিষাক্ততা পরীক্ষা করে মাছের পোনা ছাড়তে হবে।
পুকুর প্রস্তুতির উল্লেখ্যযোগ্য ধাপ ও পদ্ধতিসমূহ মেনে পুকুর প্রস্তুত করলে মাছ চাষে আশানরূপ ফল পাওয়া যাবে।
লেখকের মন্তব্য
মাছ চাষের জন্য পুরাতন পুকুর প্রস্তুতির বিস্তারিত জানার জন্য আমার এই সাইটটি ভিজিট করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করলে মাছ চাষের জন্য পুরাতন পুকুর প্রস্তুতির বিস্তারিতসহ মাছ চাষ করার আরো নতুন নতুন আপডেট তথ্য পাবেন।
ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url