বিড়াল পালনের উপকারিতা ও বিড়াল পালনের অপকারিতা
বিড়াল পালনের উপকারিতা ও বিড়াল পালনের অপকারিতার কথা ভাবছেন? তাহলে আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন, আপনি কারো সহযোগিতা ছাড়ায় নিজে নিজেই বাড়িতে বিড়াল পালন করতে পারবেন এবং বিড়াল পালনের উপকারিতা ও বিড়াল পালনের অপকারিতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন। আর আপনার জানার জন্য আমি আমার এই পোস্টে সকল তথ্য উপস্থাপন করেছি।
এই পোস্টে বিড়াল পালনের উপকারিতা ও বিড়াল পালনের অপকারিতা, বিড়ালের চিকিৎসা, বিড়ালের বাসস্থান, বিড়ালের খাবার, বিড়ালের পরিচর্যাসহ যাবতীয় তথ্য নিয়েে আলোচনা করা হয়েছে, যা বিড়াল পালনের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিতে পাবেন।
ভূমিকা
বিড়াল পালনের উপকারিতা ও বিড়াল পালনের অপকারিতায় আলোকপাত করতে গিয়ে বলতে হয় যে, আল্লাহ তায়ালা ১৮ হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন তন্মধ্যে মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এই মানুষের কল্যাণে অনেক জীবজন্তু সৃষ্টি করেছেন তন্মধ্যে বিড়াল অন্যতম। বিড়াল মানুষের অনেক উপকারে আসে। বিড়াল মানুষের সন্নিকটে বসবাস করে এবং বিড়াল শান্তিপ্রিয় প্রাণী। বিড়াল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।
বিড়াল কত বছর বেঁচে থাকতে পারে
বিড়াল পালনের উপকারিতা ও বিড়াল পালনের অপকারিতায় বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, বিড়াল সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর বাচেঁ। এক্ষেত্রে গৃহপালিত বিড়ালকে যত্ন করা হয়, নিয়মিত চিকিৎসা, বাসস্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় ফলে এই বিড়ালগুলি বেশীর ভাগই ২০ বছরের অধিকও বেঁচে থাকে।
আর যে বিড়াল গুলি গৃহপালিত নয় সেই বিড়ালগুলি নিয়মের বাহিরে চলাফেরা করে এবং কোন চিকিৎসা না পাওয়ায় তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ৮ থেকে ১০ বছর কিংবা সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ১৬ বছর বেঁচে থাকে।
বিড়াল পালনের উপকারিতা
বিড়াল পালনের উপকারিতায় জানা যায় যে, মানুষের সন্নিকটে বিড়াল শুয়ে থাকলে মানুষের অনেক উপকারে আসে। যেমন- বিড়াল যখন গড়গড় শব্দ করে তখন মানুষের স্নায়ুবিক অবস্থার অনেক অনেক উন্নতি হয়ে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিড়ালের গড়গড় শব্দের ফলে মানুষের হাড়ের সমস্যা, শরীর ব্যাথা, পেশী ও রজার সমস্যা দূর হয়ে যায়।
যে বাড়িতে বিড়াল পালন করা হয় সেই বাড়ীতে কোন জ্বীন আসার কোন আশংকা থাকে না। তাই নিজেকে এইসব রোগ বা সমস্যা থেকে সমাধান ও জ্বীনের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যেও বিড়াল পালতে পারেন।
বিড়াল পালনের অপকারিতা
বিড়াল পালনের অপকারিতার চেয়ে উপকারিতায় বেশী। বিড়াল পালনে তেমন কোন অপকারিতা লক্ষ্য করা যায় না, তবে বাহিরের যে বিড়ালগুলো থাকে তাদেরকে চিকিৎসা ও টিকা দেওয়া হয় না তাই তাদের দ্বারা যদি কোন মানুষ বা বাচ্চা আক্রান্ত হয় তাহলে জলাতঙ্ক এবং টক্সোপ্লাজমোসিস এর মত রোগ হতে পারে। আবার বিড়ালের লোম মানুষের পেটে গেলে ডিপথেরিয়া এবং হাঁপানির মত রোগ হতে পারে। সে দিকে শতর্ক থাকতে হবে। কিছু কিছু সময় বিড়াল অপ্রত্যাশিত আচরণ করতে পারে। সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
বিড়ালের বাসস্থান
বিড়াল শান্তিপ্রিয় প্রাণী তাই তারা মানুষের সন্নিকটে থাকতে বেশী পছন্দ করে। রাতের বেলায় মানুষের বিছানায় এসে ঘুমায় থাকে। তারপরেও তাদের একটি সুন্দর ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বাসস্থান করে রাখতে হবে বাসার কোন এক সাইটে। পাশাপাশি তাদের খাবার পাত্র, মল-মূত্র ত্যাগের জায়গা বিড়ালকে দেখায়ে দিতে হবে তাহলে তারা নিয়মিত খাবারের জায়গায় খাবার গ্রহণ করবে আর মল-মূত্র ত্যাগের জায়গায় তারা মল-মূত্র ত্যাগ করবে।
যদি আপনি নিয়মিত কয়েকদিন বিড়ালকে দেখায়ে দিয়ে অভ্যস্ত করেন, তাহলে বিড়াল নিজে নিজেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে পরবর্তীতে আর অন্য কোথাও মল-মূত্র ত্যাগ করবে না।
বিড়ালের খাদ্য
বিড়াল মাংসাশী প্রাণী। তাই গরু ও মুরগীর গোশস্ত, মাছ ইত্যাদি বেশী পছন্দ করে। তাই যারা বিড়াল পালন করবেন তারা প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় উক্ত খাবারগুলো রাখবেন। অবশ্যই মাছ, গোসত সিদ্ধ করে দিবেন। কেননা কাঁচা মাছ-গোসতে অনেক ব্যাকটেরিয়া থাকে ফলে অনেক রোগের সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি বাজারে তৈরীকৃত বিড়ালের খাবার পাওয়া যায় সেটাও পছন্দ করে থাকে।
বাজারের অনেক খাদ্য অপুষ্টিকরও থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভালো মানের কোম্পানীর খাবার ক্রয় করে বিড়ালকে খাওয়াবেন। যদি খাদ্যের মধ্যে কোন ভেজাল থাকে তাহলে বিড়াল অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সবচেয়ে বেশী ভালো হয় যদি আপনি নিজে মাছ, গোসত সিদ্ধ করে ১০ ভাগের মত ভাত মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করান তাহলে কোন ভেজাল থাকবে না বরং বিড়াল পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করল। আর আমি নিজেই আমার বাড়ীতে বিড়াল পালন করি মাছ, মাংস সিদ্ধ ও ভাত মিক্সড করে।
বিড়ালের চিকিৎসা
যারা বাসা-বাড়িতে বিড়াল পালন করবেন তাদেরকে বলবো আপনারা বিড়ালকে পরিচর্যা ও পুষ্টিকর খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত টিকা ও বিড়ালের কিছু চিকিৎসা রয়েছে সেগুলো দিয়ে দিবেন। বিড়ালকে সুস্থ্য ও সবল এবং ভালো রাখতে নিয়মিত ভেটেরিনারী ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
লেখকের মন্তব্য
বিড়াল পালনের উপকারিতা অনেক রয়েছে বিড়াল পালনের অপকারিতার চেয়ে। তাই সবাই বিড়াল পালন করার চেষ্টা করবেন। ইসলামেও বিড়াল পালন করার কথা বলা আছে এবং জায়েজও রয়েছে। বিড়াল পালন করতে এবং সকল তথ্য পেতে আমার সাইটটি ভিজিট করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করলে বিড়াল পালনের আপডেট তথ্য পাবেন।
ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url