শসা চাষ পদ্ধতি ও শসা খাওয়ার উপকারিতা
শসা চাষ পদ্ধতি ও শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমি আমার পোস্টে সম্পূর্ণ উপস্থাপন করেছি। শসাগ্রীষ্মকালীণ সবজি এর বৈজ্ঞানিক নাম Cucumis sativus । শুধুমাত্র সালাতে নয় শসা সবজি হিসেবেও খাওয়া যায়। শসা আমাদের উপকারী ও প্রয়োজনীয় একটি সবজি। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকৃতির শশার চাষ করা হয়ে থাকে। তন্মধ্যে অধিকাংশই হাইব্রিড জাত।
শসা চাষ পদ্ধতি ও শসা খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে যা আপনারা আমার পোস্ট সম্পূর্ণ পড়লে বুঝতে পারবেন এবং জানতেও পারবেন যে, মানবদেহের জন্য শসার কত উপকারিতা রয়েছে। ৮০ শতাংশ পানিই থাকে শশার মোট উপদানের মধ্যে।
ভূমিকা
মানবদেহের জন্য শসা অনেক উপকারি একটি সবজি। তাই আমরা শসা চাষ পদ্ধতি ও শসা খাওয়ার উপকারিতায় আজ জানবো কিভাবে শসা চাষে উপযোগী মাটি তৈরি করবেন, বীজ বা চারা রোপন ও জাত নির্বাচন করবেন এবং শসা গাছের যত্ন কিভাবে নিবেন। শসা চাষে তরল সার প্রস্তুতি ও প্রয়োগ, শসা গাছের পোকামাকড় দমন, শসার জীবন কাল এবং শসা চাষের সময়কাল সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে।
শসা চাষের জন্য কিভাবে উপযোগী মাটি তৈরী করবেন
শসা চাষ পদ্ধতি ও শসা খাওয়ার উপকারিতায় আজ আপনাদের জানাবো কিভাবে শসা চাষ করার পূর্বে জমি তৈরী করতে হয়। মূলতঃ শসা চাষের জন্য মাটি উর্বর ও বেলে দোআঁশ উত্তম। সঠিক মাটি নির্বাচন করতে না পারলে শসা চাষে ভালো ফলন আশা করা যায় না তাই পঁচা গবর, ছাই ও ভাল মানের কম্পোস্ট সার মাটিতে ছিটিয়ে দিতে হবে এবং তা সম্পূর্ণরূপে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।
শসার জাত নির্বাচন
শসা চাষ পদ্ধতি ও শসা খাওয়ার উপকারিতা পোস্টে আপনারা আরো জানতে পারবেন যে, শসার ভালো ফলন করতে চাইলে আগে ভালো মানের জাত ও বীজ সংগ্রহ করতে হবে এবং বাজারে বিভিন্ন ধরণের ভালো মানের বীজ পাওয়া যায় তন্মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য জাত হলো- হিমেল, গ্রীন ফিল্ড, পান্ডা, ভেনাস, মাতসুরী, গ্রীন কিং, শীলা, আলভী, বীরশ্রেষ্ঠ, শীতল, মধুমতি, নওগা গ্রীন, লাকি-৭ ইত্যাদি সংগ্রহ করে ২/৩ দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন বপন করার পূর্বে।
শসার গাছ কতদিন বেঁচে থাকে
শসার জাত ভেদে ৮০ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
শসার বীজ বপনের সময়কাল
শসা চাষ পদ্ধতি ও শসা খাওয়ার উপকারিতা পোস্টে আপনাদেরকে অবগত করবো কখন আপনারা শসার বীজ বপন করবেন। সাধারণতঃ ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শসার বীজ বপনের উত্তম সময়। তাই বলবো সঠিক সময়ে ভালো বীজ সংগ্রহ করে ২/৩ দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে বপন করুন তাতে ভালো ফলন পাবেন।
সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি
শসা চাষ করার পূর্বে জমিতে সার প্রয়োগ ও কি পরিমাণ দিতে হবে এবং কি কি সার প্রয়োগ করতে হবে তা আপনারা এখানে জানতে পারবেন। শসা চাষের জমি তৈরী করতে হলে অবশ্যই পঁচা গোবর, টিএসপি, ইউরিয়া, এমওপি, জিপসাম, দস্তাসার ও বোরাক্স জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে।
শসা খেলে যে উপকার গুলো পাওয়া যায়
শসা অনেক গুণে গুণান্বিত মেদ নিয়ন্ত্রণ, রূপচর্চাসহ আরো অনেক গুণ, তা জানুন-
- প্রতিদিনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ। আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের প্রয়োজন তা নিয়মিত শসা খেলেই ঘাটতি পূরণ হবে।
- হজম ও ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে শসা। তাই শসায় থাকা উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করতে নিয়মিত শসা খাবেন।
- চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত শসা খাবেন এবং চোখের পাতার ময়লা অপসারণ করতে গোসলের পূর্বে শসা গোল করে কেটে চোখের উপরে দিয়ে অন্তত ৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে অপেক্ষা করলেই এই উপকার পাবেন।
- শসা ও গাজর একসঙ্গে মিক্সড করে চুস বানায়ে খেলে ইউরিক এ্যাসিডের মাত্রা কমে আসে।
- মাথা ধরা রোধে নিয়মিত ঘুমানোর আগে শসা খান। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর আর এ সমস্যা থাকবে না।
শেষ কথা
শসার গুণাগুণ লিখে শেষ করা যাবে না। শসা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই আমরা শসা চাষ করবো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এবং ভালো ফলন করে লাভবান হবো এবং সেই সাথে নিয়মিত শসা খেয়ে শরীরকে সুস্থ্য রাখবো।
লেখকের মন্তব্য
শসা চাষ পদ্ধতি ও শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সকল আপডেট তথ্য পেতে আমার সাইটটি ভিজিট করুন এবং অন্যকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। আর এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করলে আরো অনেক তথ্য পাবেন।
ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url